সুনামগঞ্জ , শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫ , ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপিতে চাঁদাবাজের ঠাঁই নেই : মাহবুবুর রহমান ৯ মাসে ছয়শ’র বেশি ধর্ষণ এনসিপির কেন শাপলাই চাই? সুনামগঞ্জে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হলো শারদীয় দুর্গোৎসব ৪০০ ছাড়িয়েছে কাঁচা মরিচ, শতকের কাছাকাছি বেশিরভাগ সবজি ‎জামালগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা দেখার হাওর ঢেকে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে উকিলপাড়ায় পাইপলাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস নির্গমন : দুর্ঘটনার আশঙ্কা দুর্গাপূজা : মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য পূজামন্ডপ পরিদর্শন করলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ৩ ফার্মেসিকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা পথে যেতে যেতে: পথচারী সুনামগঞ্জ পৌর শহরে স্পিডব্রেকারগুলো যেন মরণফাঁদ! ‎জামালগঞ্জে 'উন্নতি সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতির' শিক্ষা উপকরণ ও  বস্ত্র বিতরণ সুনামগঞ্জে 'ধর্ষণ মামলায়' আসামিদের শাস্তির দাবিতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন নির্বাচনের প্রস্তুতি অনেক এগিয়ে নিয়েছি : সিইসি আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদন্ড আজীবন জনগণের সেবা করতে চাই : পাবেল চৌধুরী ফার্মেসিতে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে ‘ফিজিশিয়ান স্যাম্পল’

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শফিকুল বিচারের দাবিতে পরিবারের আর্তনাদ

  • আপলোড সময় : ১০-০৮-২০২৫ ১২:০৮:০৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-০৮-২০২৫ ১২:০৯:৩৩ অপরাহ্ন
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শফিকুল বিচারের দাবিতে পরিবারের আর্তনাদ
স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত শফিকুল ইসলামের পরিবারের কান্না থামছে না। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী মানুষটিকে হারিয়ে তারা এখন দিশেহারা।
‘ঘাতক’ বাসচালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের স্বজনরা।

শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের হালুয়ারঘাট গ্রামে নিজ বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। লিখিত বক্তব্যে নিহতের স্ত্রী মরিয়ম বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার স্বামী পরিবারের একমাত্র সম্বল ছিলেন। তাকে হারিয়ে আমরা আজ দিশেহারা। আমাদের নিজের কোন ঘরবাড়ি নাই। সুনামগঞ্জ শহরে আমরা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতাম। আমাদের কোন ছেলে সন্তান নেই। দুই মেয়ে ছিলো তাদের বিয়ে হয়ে গেছে, এখন আমাকে দেখাশোনা করার মতো কোন মানুষও নাই। আমি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো, কার কাছে থাকবো। আমার স্বামীকে যে মেরেছে আমি সেই ঘাতক ড্রাইভারের উপযুক্ত শাস্তি চাই। একজন অসহায় নারী হিসেবে আমি সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।
নিহত শফিকুল ইসলামের বড় মেয়ে তাহমিনা আক্তার বলেন, ৬ আগস্ট মোবাইলে ফোনে একজন জানান আমার বাবা এক্সিডেন্ট করেছেন। পরে আমরা সদর হাসপাতালে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করে তার কোন সন্ধান না পাওয়ায় বিষয়টি সাংবাদিকদের জানাই। একটু পর খবর পাই আমার বাবা এক্সিডেন্ট করে ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। খবরটি শোনার পর আমরা কান্নায় ভেঙে পড়ি। পরে পুলিশ মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে আসে। বাবাকে হারিয়ে আজ আমরা এতিম হয়ে গেছি। এই ঘটনায় নিহত দুই শিক্ষার্থীকে নিয়ে আন্দোলন ও আলোচনা হলেও আমাদের পরিবারের খবর কেউ নিচ্ছে না। আমি এই ঘাতক ড্রাইভারের বিচার ও ক্ষতিপূরণ চাই।

নিহত শফিকুল ইসলামের ছোট মেয়ের জামাই নাঈম ইসলাম বলেন, আমার শ্বশুর নিহতের পর থেকে এখন পর্যন্ত খোঁজ-খবরতো দূরে থাক কেউ এসে সান্তনাও দেয়নি। আমি ব্যক্তিগতভাবে সুনামগঞ্জ জেলা বাস মালিক ও শ্রমিক সমিতির সাথে যোগাযোগ করলেও তারা কোন সাড়া দেননি। স্থানীয় প্রশাসনও এগিয়ে আসেনি। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তিকে হারিয়ে এই পরিবারটি একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে। আমি এই ঘাতক বাস ড্রাইভারের উপযুক্ত বিচার এবং এই পরিবারের পাশে সহযোগিতা নিয়ে সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দুর রহমান, আবু মুসা, নিহত শফিকুল ইসলামের ছোট মেয়ে মমতাজ বেগম, বড় মেয়ের জামাই হেলাল মিয়া প্রমূখ। উল্লেখ্য, গত ৬ আগস্ট দুপুরে সুনামগঞ্জের বাহাদুরপুর নামক স্থানে বাস-সিএনজি অটোরিকসা সংঘর্ষে শফিকুল ইসলামসহ ২ শিক্ষার্থী নিহত হন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স